সুখে ও দুঃখে যে দোয়া পড়বেন এবং সকল সমস্যার সমাধান পাবেন যেভাবে
সুখে ও দুঃখে যে দোয়া পড়বেনঃ
সুখ ও দুঃখ মানুষের জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সুখের পর দুঃখ আবার দুঃখের পর মানুষ সুখের সময় অতিবাহিত করে। সর্বাবস্থায় মুমিন মুসলমান মহান আল্লাহ পাকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে থাকেন। সুখ- দুঃখের সময় গুলোতে নিজেদের আবেগকে দমন করা মুমিন মুসলমানের জন্য খুবই জরুরী একটি বিষয়।
পবিত্র কোরআন-সুন্নায় সর্বাবস্থায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণের উপদেশ দেওয়া হয়েছে। আবেগ নিয়ন্ত্রণ এর পাশাপাশি মহান আল্লাহ পাকের সাহায্য প্রার্থনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক বলেন - “এটা এজন্য যে, তোমরা যা হারিয়েছো তাতে যেন তোমরা বিমর্ষ না হও। যা তিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন, তার জন্য তোমরা আনন্দিত না হও। গর্ব অহংকার ও অহংকারীদের আল্লাহ পছন্দ করেন না”। (সূরা হাদীদ: আয়াত-২৩)
সুখ ও দুঃখের সময় নিজেদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হাদিসে মহান আল্লাহ পাকের কাছে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা ও আশ্রয় চাওয়ার দোয়া শেখানো হয়েছে। সেই দোয়া এখানে উল্লেখ করা হলো - (আরবি উচ্চারণ): “আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আদলা ফিল গাদাবি ওয়ার রিদা”। অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে ক্রোধ ও সন্তুষ্টি উভয় অবস্থায় মধ্যম পন্থা কামনা করি।
মমিন মুসলমানের উচিত সর্বশ্রেষ্ঠ ও শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)- এর হাদীসের উপর আমল করা। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আমাকে দুটি শব্দ উচ্চারণ থেকে নিষেধ করা হয়েছে। তাহলো দুঃখের সময় বোকামীসূলভ (হায় হায়) এবং অন্যটি হলো (আনন্দের অতিমাত্রায়) পাপ সুলভ (হুররে। হাহহা) শব্দ”। (মহান আল্লাহ পাক এর পক্ষ থেকে) নেয়ামত পেলে (পাপ হয় এমন শব্দ) “হুররে বা হাহহা” করা। আর বিপদের সময় বোকামি বশত “হায় হায়” বা আফসোস করা অর্থাৎ বড় নিঃশ্বাস ফেলা।
মহান আল্লাহ তায়াআলা মুমিন মুসলিম উম্মাহকে সুখ-দুঃখ সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহ পাকের উপর ভরসা ও ধৈর্য ধারণ করার মাধ্যমে আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করার তৌফিক দান করুন। গর্ব ও অহংকার থেকে বিরত থাকার তৌফিক দান করুন এবং দুঃখ ও আনন্দের আতিশয্যে তার অবাধ্যতা থেকে মুক্ত থাকার তৌফিক দান করুন। (আমিন)